raihan joy

ইন্টারনেট...

ইন্টারনেট(Internet):-

বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎগতিতে তথ্যের আদান প্রদান তথা যোগাযোগ ব্যবস্থার যে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে বা বিশ্বব্যাপী পরস্পরের মাঝে যে তথ্যের  জাল বিস্তৃত হয়েছে তাকে এককথায় আর্ন্তজাতিক ‍যোগাযোগ ব্যবস্থা বা ইন্টারনেট প্রযুক্তি বলে।

ইন্টারনেটের ইতিহাস( History of Internet):-
ইন্টারনেট এর শব্দগত বিশ্লেষণ করলে তাকে International Network এর সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে পাওয়া যায়। আর এর কার্যগত বিশ্লেষণে গেলে এটি নেটওয়ার্ক সমূহের নেটওয়ার্ক। LAN, MAN, WAN, ISDN ইত্যাদি বেশকিছু নেটওয়ার্ক সিস্টেম বহুদিন ধরে সীমিত পরিসরে অপেক্ষাকৃত বড় পরিসরে তথ্য আদান-প্রদান সৃষ্টি করে আসছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন কর্পোরেশন, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি সংস্থা তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে নিজ নিজ ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক সিস্টেম ব্যবহার করে আসছে। এক পর্যায়ে টেলিফোন ও স্যাটেলাইট অথ্যাৎ টেলিকমউনিকেশন ব্যবস্থা কম্পিউটারের সাথে একীভূত হয়ে যেতে থাকলে কম্পিউটার ব্যবহারকারীগণ তাহাদের নেটওয়ার্কের বৃত্তকে আরো বৃহৎ করার প্রয়োজন অনুভব করতে থাকেন। এ অবস্থায় ৯০ এর দশকের শুরুতে বিভিন্ন দেশের প্রধান প্রধান শহরে স্থাপিত সার্ভারগুলো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যুক্ত হতে থাকলে কম্পিউটারে ব্যাপকভিত্তিক তথ্য আদান-প্রদান ও যোগাযোগ এক নতুন দুয়ার খুলে যায় এবং তা রাষ্ট্রের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাথে। এ প্রক্রিয়ায় তথ্য আদান-প্রদান সহজ হয়ে পড়লে অল্প সময়ের মধ্যেই এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৯৪ সালে তথ্য আদান-প্রদান ও যোগাযোগ স্থাপনের এ ব্যবস্থাটি ইন্টারনেট নামে অভিহিত হতে শুরু করে। ইন্টারনেটকে আজ আমরা বিশ্ব নেটওর্য়াক বা নেটওর্য়াকসমূহের নেটওর্য়াক যে নামেই অভিহিত করি না কেন এত রূপ প্রতিনিয়তই মানুষের নিকট স্পষ্ট হচ্ছে। এমন একদিন সম্ভবত বেশি দূরে নয় যখন এটি অনেকগুলো প্রচলিত ব্যবস্থাকে চিরতরে ইতিহাসে পরিণত করে দেবে। আজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পেশার মানুষ তার নিজ নিজ পেশা সম্পর্কে বিস্তারিত ও সর্বশেষ জ্ঞান ও তথ্য সংগ্রহ করতে পারছে। ব্যবসায়ীরা অতি অল্প খরচে ও সহজে তাদের তথ্য আদান-প্রদান করতে পারছে। বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার নিয়োজিত ব্যাক্তিগণ সহজে ও চাওয়ামাত্র বিশ্ব জ্ঞান ভান্ডার থেকে শিক্ষা অর্জন করতে পারছে। 

আর এই বিশাল তথ্য বিপ্লব নীরবে নির্ভৃতে ঘটে যাচ্ছে। এর ব্যাপক ব্যবহারের শুরু হিসেবে ১৯৯০ সালকে চিহ্নিত করা হলেও মূলত ইন্টানেটের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৯ সালে। প্রথম যে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট ব্যবস্থার প্রচলন শুরু হয় সে প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ইউনির্ভাসিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, ইউনির্ভাসিটি অব সাম্প বারবারা, ইউনির্ভাসিটি অব উথা এবং স্ট্যানফোর্ড রিচার্স ইন্সটিটউট।
সর্বপ্রথম ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যর আদান-প্রদান শুরু করে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স (US Department of Defense)।যার সংক্ষিপ্ত নাম হচ্ছে- Advanced Research Projects Agency- (ARPA). তাই সর্বপ্রথম যে নেটওয়ার্ক চালু হয় তার নাম ছিল- (ARPANET).



নেটিজেন(Netizen):-

নেটিজেন শব্দটির সাথে সাধারণ মানুষের পরিচয় না থাকলেও সিটিজেন শব্দটির সাথে সকল শিক্ষিতজনই পরিচিত। সিটিজেন বা নাগরিক হল কোন দেশের আইনগত অধিবাসী যিনি সেই দেশের পাসপোর্ট ও অন্যান্য বিশেষ কিছু সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হয়ে থাকেন। তদ্রূপই সিটিজেনশিপের মতই ইন্টারনেটের একাউন্ট গ্রহনকারীদের আজকাল নেটিজেনশীপ গ্রহণকারী বলা হচ্ছে। আর এই নেটিজেনদের সংখ্যা দিন দিন বারছে। আর এ যেন অনেকটা আন্তর্জাতিক নাগরিকত্ব লাভ।